নিজস্ব সংবাদদাতা:
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থার জন্য অপরাধ ও অপরাধীদের মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। গতকাল শনিবার পুলিশ স্টাফ কলেজে মাস্টার অব অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক মাস্টার্স প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থায় অপরাধ ও অপরাধীদের কার্যক্রমের ধরন পাল্টেছে। তাই এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের অপরাধবিষয়ক উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগে মাঠপর্যায়ে অপরাধ সংঘটিত হতো। এখন তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্র বাড়ায় প্রচলিত অপরাধের ধরন যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতেও অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ উচ্চতর শিক্ষা, ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে সেসব অপরাধ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বৈশ্বিক অপরাধের প্রভাবে বাংলাদেশেও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের মতো অপরাধ যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সফলতার সঙ্গে এ ধরনের দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহুমাত্রিক অপরাধ মোকাবিলায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছার ফলে ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। কোর্স উদ্বোধনের আগে আইজিপি পুলিশ স্টাফ কলেজের নবনির্মিত সাইবার ল্যাবের উদ্বোধন করেন এবং আন্তর্জাতিক পুলিশ গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-২০১৬ থেকে মাস্টার অ্যাপলাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পুলিশ স্টাফ কলেজে পরিচালিত হচ্ছে। প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে পুলিশ অফিসার ছাড়াও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। অষ্টম ব্যাচে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক বিভাগের কর্মকর্তা, আইনজীবী, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ভর্তি হয়েছেন। এ কোর্সের মাধ্যমে অপরাধবিষয়ক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুলিশিংয়ের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদসহ অন্য কর্মকর্তারা।
Sharing is caring!