স্টাফ রিপোর্টার:
মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাতের গোলার শব্দে টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দাদের আতঙ্ক কমেনি। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার ওপার থেকে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ বিকেল ৫টার দিকে জেটিঘাটের ওপাশ থেকে বিকট শব্দ আসে। এ ছাড়া শনিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং কানজরপাড়া-খারাংখালীতে গোলাগুলি হয়েছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা এখনও রয়ে গেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) রাসেল আহমেদ বলেন, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে কোনো দালাল সক্রিয় হয়ে উঠতে না পারে সে জন্য গোয়েন্দাসহ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, অনুপ্রবেশ রোধে নাফ নদে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। গেল ২০ দিনে ২ শতাধিক রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল তিনজনকে শাহপরীর দ্বীপ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাইফুল বলেন, শনিবার রাতে আমাদের সীমান্তে দুই ঘণ্টা থেমে থেমে গোলাগুলি চলছিল। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে প্রায় সময় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সীমান্তে নাফ নদ থাকার কারণে আমরা অনেকটা নিরাপদে আছি। তবু আমরা সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলেছি।
Sharing is caring!