নিজস্ব সংবাদদাতা:
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুত উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটার ৭৫ পয়সা বাড়ালো সরকার। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জ¦ালানি বিভাগ নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হয়। ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে, ফলে মার্চেই নতুন দামে বিল পরিশোধ করতে হবে। জ¦ালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন দাম হবে ঘনমিটার প্রতি ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘনমিটার প্রতি দাম হবে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। এদিন দুপুরে বিদ্যুৎ জ¦ালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা জানানোর পর বিকালেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এদিন দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। প্রতি ইউনিটে দাম বাড়ছে ৩৪ পয়সা। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে। বিদ্যুতে বর্তমানে সরকার বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। গ্যাসের দামও সমন্বয় করা হবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের নতুন দাম মার্চ থেকে কার্যকর হবে। গ্যাসের দামও বাড়ছে। তবে বাসাবাড়ির গ্রাহক ও শিল্প পর্যায়ে এখন দাম বাড়বে না। শুধু যে গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, সেই গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এ সমন্বয়ও মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে। এদিকে সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।
Sharing is caring!