১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় বীমা দিবস পালিত

admin
প্রকাশিত মার্চ ২, ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় বীমা দিবস পালিত

এনবি ডেস্ক: করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪ পালন করেছে।

উক্ত দিবসের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি বীমা সম্পর্কিত জনসচেতনতামূলক নানা ধরনের ফেস্টুন, স্লোগান ও ব্যানারসহ বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে, প্যারিস রোড, কাজলা গেইট হয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে মেইন গেইট, শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিন করে।

অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় চারশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। র‍্যালি শেষে বাংলাদেশের বীমাখাত সম্পর্কিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের সভাপতি মো: তৌহিদুল আলম এবং তিনি বলেন, “বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষে সকল খাত সমানভাবে কাজ করে চলেছে এবং তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বীমা খাতকে আরো প্রসারিত ও শক্তিশালী করার জন্য সম্প্রতি নানা ধরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত  সরকারের পক্ষ হতে নেওয়া হয়েছে যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আমি খুবই আশাবাদী। বিশেষ করে আজ থেকে ব্যাংকাসুরেন্স কার্যকরী হওয়ায় ব্যাংকগুলো বীমা কোম্পানীর পলিসিগুলো খুব সহজেই জনগনের দোড়গোড়ায় আস্থার সাথে পৌছে দিতে পারবে। এছাড়াও প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত একচ্যুয়ারির বাধ্যবাধকতা থাকায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী বীমা পলিসির সঠিক দাম নির্ধারন করতে পারবে যা উভয়পক্ষের জন্য কল্যাণকর হবে বলে আশা করছি।”

প্রধান অতিথি হিসেবে  উক্ত বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা ২০২০ সাল হতে ১লা মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে প্রতিবছরই পালন করি। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য মুজিবকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতের মতো বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতিটি মানুষকে বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য এক নিরলস প্রচেষ্টা চলছে এবং আমরা ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগও এই ধারাবাহিকতার অংশীদার ও অগ্রদূত হতে চাই। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বীমা খাতের দক্ষ মানবসম্পদ হয়ে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

এছাড়াও বীমা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে “বাংলাদশে বীমাখাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা” শিরোণামে বিশেষ রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেখানে বিভাগের প্রত্যেক বর্ষ হতে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুইটা সাহা। পরে তাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটি তুলে দেন বিভাগের সভাপতি।

আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।

Sharing is caring!