১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন : এটর্নি জেনারেল

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন : এটর্নি জেনারেল

স্টাফ রিপোর্টার :
এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, অন্তর্র্বতী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তাতে জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীব্যাপি তিনটি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ।’
এটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন। কেননা বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রজাতন্ত্রের অন্য কোনো বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগকে মিলানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করবে। এটি নিয়ে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করেন এটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচার বিভাগের ওপর অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপ ছিল। বিগত সময়ে গণতন্ত্র হত্যা লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। সেখানেও তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ভুলেই গিয়েছিলেন যে তারা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারেন। তারা নিজেদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ভাবতেন।
সরকারের সংস্কারের উদ্যোগে সকলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে মনে করেন এটর্নি জেনারেল। সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবেন বলে এসময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিকভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতি দু’টি ক্ষমতা প্রয়োগ করেন ১. প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ২. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। তাতেও প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। প্রক্রিয়া শেষে তিনি নিয়োগ ও শপথ পড়ান। তিনি নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারেন না। বিগত সময়ে দেখা গেছে সরকারের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতাও তিনি প্রয়োগ করতে পারেন না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন এটর্নি জেনারেল।

Sharing is caring!