এনবি ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় হাজারো ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয় বরং উদ্বিগ্ন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের যৌথ আয়োজনে ‘গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল’ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের আরো বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা দেখেই গোপালগঞ্জে সাহস পেয়েছে পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা।
এ সময় তিনি বলেন, এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতার কারণে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ হতে যাচ্ছে। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা অশনি সংকেত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাছুম এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এইচএম হামিদুর রহমান আজাদ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।
দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম প্রমুখ।
এ ছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, মো. শামছুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর দায়িত্বশীল নেতারা।
সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতাদের নেতৃত্বে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়
Sharing is caring!